ময়মনসিংহ, জয়পুরহাট ও কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গাসহ ৪ জন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
ময়মনসিংহ: জেলার গফরগাঁওয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পাঁচটি ডাকাতি মামলার আসামি আব্দুল মোতালেব (৪২) নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে গফরগাঁও-রসুলপুর আঞ্চলিক সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, ১০ রাউন্ড গুলি ও বেশকিছু কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, রাতে গফরগাঁও-রসুলপুর আঞ্চলিক সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে ডাকাতদল- গোপনসূত্রে এমন খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের দুটি দল অভিযান চালায় সেখানে। ডাকাতদল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। সহযোগী ডাকাতদল পালিয়ে গেলেও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোতালেব নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। আহত মোতালেবকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মোতালেবের বিরুদ্ধে পাঁচটি ডাকাতির মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আকরাম হোসেন নামে এক এসআই আহত হয়েছেন।
জয়পুরহাট: জেলার পাঁচবিবি উপজেলার চাঁনপাড়া-শিরট্রি সড়কে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৮ মামলার আসামি আমিনুল ইসলাম ক্যাসেট নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আমিনুল ইসলাম ক্যাসেট উপজেলার পিয়ারা গ্রামের শাহাবুল ইসলামের ছেলে।
এ বিষয়ে পাঁচবিবি থানা সূত্রে জানা গেছে, রাতে উপজেলার চাঁনপাড়া-শিরট্রি সড়কের ধারে ক্যাসেটসহ ১০/১২ জন ব্যক্তি দেন-দরবার করছিলেন। এ সময় পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে এলোপাথাড়িভাবে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায় তারা পালিয়ে গেলে পুলিশ ক্যাসেট নামে এক মুক্তিপণ আদায়কারীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখতে পায়। ক্যাসেট তার দলের সদস্যদের ছোড়া গুলিতেই নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের দাবি।
নিহত আমিনুল বিভিন্ন জনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করতেন। ঘটনাস্থল থেকে ৭ রাউন্ড গুলি, ১টি রিভলভার, দেশীয় অস্ত্রসহ ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
কক্সবাজার: কক্সবাজারে টেকনাফে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি, নিহতরা মাদকব্যবসায়ী ছিল। উপজেলার নাফনদীর হোয়াইক্যং মোহনায় শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ ব্লকের বাসিন্দা সুলতান আহমদের ছেলে আবুল হাসিম (২৫) ও একই ক্যাম্পের সি ব্লকের বাসিন্দা আবু সিদ্দিকের ছেলে নুর কামাল (১৯)।
বিজিরি’র দাবি, নিহতরা ইয়াবা কারবারি। তারা মায়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে বাংলাদেশে আসছিল। ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফয়সাল হাসান খান জানান, নাফনদী দিয়ে নৌকায় করে কয়েকজন বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তাদের চ্যালেঞ্জ করে বিজিবির টহল দল। তখন তারা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে এসব ইয়াবা ও অস্ত্রসহ এ দুজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান বিজিবি’র অধিনায়ক।