ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার ভোর থেকে এই মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন চলছে থেমে থেমে। চলতে শুরু করার পর ১০ হাত দূরে গিয়েই আটকে পড়ছে গাড়ি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাঁচবার টোল আদায় বন্ধ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ির মধ্যে আটকা থেকে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে চরম কষ্টে সময় পার করছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মহাসড়কের দুটি স্থানে গাড়ি বিকল হয়ে ছিল। পরে ওই গাড়িগুলোকে রেকার দিয়ে সরিয়ে নেয় পুলিশ। এছাড়াও বৃষ্টিপাতের কারণে ও এলেঙ্গায় দুই লেনের সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ায় এখানে গাড়ির গতি কমে আসে। এর ফলে গাড়িগুলো ঠিক মতো টানতে পারে না। অপরদিকে যানবাহনের বাড়তি চাপ এবং চালকদের প্রতিযোগিতা ও খেয়াল খুশিমত গাড়ি চালানোর কারণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার দিনভর থেমে গাড়ি চলাচল করেছে। শনিবার ভোর থেকে আরো খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একবার চলতে শুরু করার পর মাত্র ১০ হাতের মতো এগিয়েই আবার প্রায় এক দেড় ঘণ্টা গাড়ি আটকে পড়ছে। আবার বিশ হাত দূরে গিয়ে একই অবস্থা। চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর, দেউহাটা, মির্জাপুর, কাদিমধল্লা, নাটিয়াপাড়া, করটিয়া টাঙ্গাইল শহর বাইপাস, রাবনা বাইপাস, রসুলপুর ও বঙ্গবন্ধুসেতুর পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে হাজার গাড়ি আটকে পড়েছে।
টাঙ্গাইলের ট্রাফিক পরিদর্শক এরশাজুল হক জানান, ‘সেতুর পশ্চিমপ্রান্তে গাড়ি টানতে না পারায় আমাদের এখানে যানবাহন আটকে রয়েছে। তবে সব গাড়ি লাইনআপ করে রাখা হয়েছে। টোলপ্লাজা খুলে দিলেই গাড়ি চলবে।
ঢাকার দিকে কোন যানজট নেই জানিয়ে তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা সব যানবাহন সেতু পার হয়ে ঢাকার দিকে চলে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় দায়িত্বরত মধুপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরান হোসেন জানান, সিরাজগঞ্জের দিকে গাড়ি টানতে না পারায় সেতুর ওপর শত শত গাড়ি আটকা পড়েছে। এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেন। তারপরেই এক লেনে এসে গাড়ি ঢুকছে। এছাড়া সেতুর পশ্চিমপ্রান্তে সিরাজগঞ্জে এক লেনের রাস্তা। এখানে ভয়াবহ যানজটের কবলে পড়ছে গাড়িগুলো। উত্তরবঙ্গের দিকে গাড়ি টানতে পারছে না। ফলে টোলপ্লাজা বন্ধ রাখা হয়েছে। এ কারণে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাঁচবার টোল আদায় বন্ধ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।