স্টাফ রিপোর্টার : নিখোঁজের এক মাস পর বাড়ির টয়লেটের ভেতরে মিললো ট্টাক চালক জামাল মল্লিকের(৪৫) মরদেহ। টয়লেটে পচা-দুর্গন্ধের সূত্র ধরে বুধবার দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা বেগমকে(৩৫) আটক করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের ষাইট ঘর তেওতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্ত্রী তাকে হত্যার পর বাড়ির টয়লেটে লাশ ঘুম করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা বেগম পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
নিহতের ভাই জয়নাল মল্লিক জানান,তার ভাই পেশায় একজন ট্টাক চালক।৮/৯ মাস আগে তিনি আরেকটি বিয়ে করেন।দ্বিতীয় বউ নিয়ে তিনি ঢাকায় থাকতেন।দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বড় বউ বসবাস করতেন ষাইটঘর তেওতা গ্রামে।
মাসখানেক আগে জামাল মল্লিক বড় বউ ও সন্তানদের সাথে দেখা করতে তেওতা আসেন। এর পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিলো না। গত কয়েকদিন ধরে বড় বউয়ের বাড়ির টয়লেট থেকে পচা দুর্গন্ত বের হলে এলাকাবাসীর কাছে খবর পান তিনি। এর পর বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ টয়লেটের ঢাকনা খুলে জামালের লাশ উদ্ধার করে।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, এঘটনায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা বেগমকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে আয়েশা বলেছেন দ্বিতীয় বিয়ে করায় তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। ঘটনার দিন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী জামালের পুরুষাঙ্গের অন্তঃকোষ চেপে ধরে। এতে মুত্যু হয় জামালের। পরে গুম করার উদ্দেশ্যে তার মরদেহ টয়লেটে ফেলা হয়। লাশ ফেলে রাখার পরও টয়লেটটি পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত ব্যবহার করতেন।
ওসি জানান, এঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।লাশ ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
শিবালয় সার্কেলর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহাবুবুর রহমান ঘটনা স্থল পরির্দশন করেছেন।
সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ২৭ জুন ২০১৮/ লিটন