রাজধানীর সিভিল এভিয়েশন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ঐশ গোমেজ। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে একদিন জ্বর ওঠে তার। প্রথম দু’দিন প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবনের পরও জ্বর কমছিল না। এরপর গত ২৮ জুলাই তাকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। চার দিন চিকিৎসার পর ১ আগস্ট তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়।
ঐশ গোমেজের পরিবার রাজধানীর মণিপুরিপাড়া এলাকায় বসবাস করে। তার মা দীপা কস্তা ঢাকা শিশু হাসপাতালের সিনিয়র নার্স। দীপা কস্তা সমকালকে বলেন, ছেলে সকালে স্কুলে যায়। সেখানে মাঠে খেলাধুলা করে বিকেলের দিকে জ্বর নিয়ে বাসায় ফেরে। তার ধারণা, স্কুল থেকেই ঐশ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। কারণ বাসায় তারা সবাই মশারি ব্যবহার করেন। এ ছাড়া নিয়মিত বাসার ভেতর ও আশপাশের পরিবেশও পরিচ্ছন্ন রাখেন। বাসায় থাকা কোনো মশা কামড় দিলে পরিবারের অন্য কারও না কারও ডেঙ্গু হতো।
দীপা কস্তার মতো একই কথা জানান রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ আলম। ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর তার ছেলে হুজাইফা আহমেদকে গত ২৮ জুলাই ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে হুজাইফা এখন বাসায় ফিরেছে। খোরশেদ আলম বলেন, তার ছেলে শেওড়াপাড়া এলাকার হাফিজুল্লাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর ছেলেকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসেন। রাত ৯টার দিকে বাসায় নিয়ে আসেন। ছেলে সারাদিন ওই মাদ্রাসায় থেকে পড়াশোনা করে। খোরশেদ আলমের ধারণা, হুজাইফা মাদ্রাসা থেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। বাসায় তারা সবাই মশারি ব্যবহার করেন।
ঐশ গোমেজ ও হুজাইফার মতো আরও অনেক শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজ থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পরিবারের পক্ষ থেকেও এমন দাবি করা হয়েছে। সংশ্নিষ্ট বিশেষজ্ঞরাও এ দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলেছেন, ডেঙ্গুবাহিত এডিস মশা উজ্জ্বল আলোয় কামড় দিয়ে থাকে। রাতের অন্ধকারে কামড় দেয় না। সুতরাং দিনের উজ্জ্বল আলোয় স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গুবাহিত এডিস মশা কামড় দিয়ে থাকতে পারে। স্কুল-কলেজে পড়ুয়া ডেঙ্গু আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেও এ রকম আশঙ্কার কথাই জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্নেষণ করে দেখা যায়, এ পর্যন্ত প্রায় ৩১ শতাংশ শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। শিশু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডেঙ্গুর ভয়াবহতা শিশুদের পক্ষে সহ্য করা অত্যন্ত কঠিন। বড়দের যে সহ্য ক্ষমতা, শিশুদের তা নেই। এ কারণে তাদের জন্য ডেঙ্গু অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় শিশুদের বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
স্কুলগামী শিশুরাই বেশি ঝুঁকিতে : ঢাকা শিশু হাসপাতালের এপিডেমিওলজিস্ট কিংকর ঘোষ চলতি বছরের মে মাস থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত ৪৮৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ওপর গবেষণা চালান। তাতে দেখা গেছে, ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুরা ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। তাদের সংখ্যা ১৭৮ জন। শতকরা হিসাবে ৩৭ শতাংশ। ৩ থেকে ৫ বছর বয়সী ১৪৭ শিশু আক্রান্ত হয়েছে। এই হার ৩০ শতাংশ। ১১ বছর ও তার বেশি বয়সী শিশুর সংখ্যা ৭৮। এই হার ১৬ শতাংশ। ১ থেকে ২ বছর বয়সী শিশু ৫৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। তাদের হার ১১ শতাংশ। এক বছরের নিচে ২৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। এই হার ৬ শতাংশ। ৬ থেকে ১০ বছর এবং ১১ বছরের ওপরের শিক্ষার্থীরাই স্কুলে পড়াশোনা করছে। মোট আক্রান্তের মধ্যে তাদের সংখ্যা ৫৩ শতাংশ।
কিংকর ঘোষ জানান, ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী এবং ১১ বছর ও তার বেশি বয়সী শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের হার বেশি। এ শিশুরাই স্কুলে পড়াশোনা করছে। সুতরাং স্কুলগামী শিশুরা যে বেশি হারে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এটি বলা যায়। গবেষণা অনুযায়ী স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা বেশি ঝুঁকিতে আছে বলে মনে করেন তিনি।
নিজের গবেষণার ধরন তুলে ধরে কিংকর ঘোষ বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের অভিভাবকের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। তাদের মধ্যে স্কুলপড়ূয়া শিক্ষার্থীর অধিকাংশ অভিভাবক জানিয়েছেন, তাদের বাসাবাড়ি ও আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন এবং সার্বক্ষণিক মশারিও ব্যবহার করেন। তাই বাসা থেকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। বাসা থেকে আক্রান্ত হলে পরিবারের অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হতেন। কিন্তু শুধু স্কুলপড়ূয়া শিশু কেন আক্রান্ত হবে। সুতরাং এ চিত্র থেকে বলা যায়, স্কুলে গিয়েই বেশিরভাগ শিশু আক্রান্ত হয়েছে।
সরকারের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত তিন হাজার মানুষের ওপর বয়সভিত্তিক একটি পর্যালোচনা করেছে। সেখানে দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১ বছর বয়সী ৯১ জন, ১ থেকে ৫ বছর বয়সী ১৫২ জন, ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সী ৫৭১ জন আক্রান্ত হয়েছে। ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুরাই স্কুলগামী।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে শুধু শিশু রোগী ভর্তি হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তালিকা নিয়ে কাজ করে। এসব রোগীর বয়সভিত্তিক তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ৫ থেকে ১৫ বছর এবং ১৫ থেকে ২৫ বছর এবং ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী মানুষ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া পেশাগত দিক পর্যালোচনা করেও দেখা গেছে, শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা বেশি আক্রান্ত হয়েছে। এর আগের বছরগুলোতে এমনটি দেখা যায়নি।
পরিচালক আরও বলেন, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, কর্মস্থলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সরকারিভাবে যে চেষ্টা করা হচ্ছে, তাতে বাসাবাড়ির মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। সবাই বাসাবাড়ি ও আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থল পরিচ্ছন্ন রাখার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। অন্যথায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। কারণ এখন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির পানি জমে এডিস মশার প্রজনন বাড়াবে। তাই সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে।
শিক্ষকরা যা বলছেন : রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম গতকাল বলেন, প্রতিদিনই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে স্কুল ও আশপাশের এলাকা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে আসছি। আশপাশে পানিও জমতে দেওয়া হচ্ছে না। স্কুলের প্রতিটি কক্ষেই পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা আছে। সুতরাং এখান থেকে শিশুদের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম।
প্রায় একই কথা বলেছেন গুলশান মডেল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা জামান। তিনি বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেওয়ার আগে থেকেই নিয়মিত তারা স্কুল ও এর আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রেখে আসছেন। গত কয়েকদিন এটি আরও বেশি করে করা হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত অ্যারোসল দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই।
আক্রান্ত ও শিশু মৃত্যুর সংখ্যা : ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৪৯০ শিশু ভর্তি হয়েছে। তবে আউটডোর ও জরুরি বিভাগ থেকে আরও কয়েকগুণ শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। তালিকায় তাদের নাম নেই। আবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাতে যে তালিকা আছে, তাতে বয়সভিত্তিক সব রোগীর হিসাব পর্যালোচনা করা হয়নি। তিন হাজার রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১৫ বছর বয়সী ৯১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী ৩১ শতাংশ শিশু রোগী পাওয়া গেছে। তবে সংশ্নিষ্টরা বলেছেন, মোট আক্রান্তের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৩৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এদিকে স্কয়ার, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে দুটি করে এবং ইউনাইটেড, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, গ্রিন লাইফ ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে একটি করে মোট ১০ শিশুর মৃত্যুর হিসাব পাওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থল থেকেই মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এডিস মশা যে সময়টায় কামড় দেয়, সেই সময় অনেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে অবস্থান করেন। সুতরাং এখন সেসব স্থান পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ জানান, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে উচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি হাড় ও মাংসপেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এই ধকল সামাল দেওয়া শিশুদের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন। এ ছাড়া দাঁতের গোড়া, নাক থেকে রক্ত বের হতে পারে। ডেঙ্গু ভাইরাসের একটি বিশেষত্ব হলো- এটি রক্তনালির পরিবর্তন ঘটিয়ে জলীয় অংশ বের করে দেয়। ফলে রোগী পানিশূন্যতায় ভোগে। বড়দের তুলনায় শিশুরা পানিশূন্যতায় বেশি ভোগে। তীব্র পানিশূন্য হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়াসহ তাদের জটিলতার আশঙ্কাও বেশি। তাই শিশুদের প্রতি বাড়তি নজর দিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থল পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, অতিঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই মশার বিস্তার দেখা যাচ্ছে। সে হিসেবে স্কুল-কলেজ, বাজার, বাস, লঞ্চ ও রেলস্টেশনে এই মশার প্রজনন বেশি হয়। তাই এসব স্থানে যারা চলাচল করছে, তাদের পৃথক প্রটেকশন নিতে হবে। বিশেষ করে ফুলহাতা প্যান্ট-শার্ট ও জুতা-মোজা ব্যবহার করা প্রয়োজন। স্কুলগুলোতে ড্রেস পরিবর্তন করা দরকার। কারণ হাফহাতা জামার পরিবর্তে ফুলহাতা ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া অ্যারোসলসহ মশা প্রতিরোধী বিভিন্ন সামগ্রী স্কুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সঙ্গে স্কুল ও আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তাহলে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হবে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আলোচনায়ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : সম্প্রতি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভাতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই সভায় অংশ নেওয়া ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, স্কুলপড়ূয়া শিশুরা ঝুঁকিতে আছে। তাদের বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে কেউ কেউ স্কুল বন্ধ করার পরামর্শ দেন। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তা গ্রহণ করা হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ওই সভায় বলেছেন, শিক্ষার্থীদের যুক্ত করেই তারা ডেঙ্গুবিরোধী সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। স্কুল-কলেজ ও আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন করার মাধ্যমে তারা ব্যাপক হারে সচেতনতা সৃষ্টি করছেন। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শিশুরা নিজের বাসাবাড়ি ও আশপাশের পরিবেশও পরিচ্ছন্ন রাখতে ভূমিকা পালন করতে পারবে। স্কুল-কলেজ ছুটি দেওয়া হলে সেই কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলসহ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এডিসের প্রজনন বেশি। এসব এলাকায় সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া মশক নিধনে দেশব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা রাত-দিন পরিশ্রম করে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। এ অবস্থায় খুব শিগগির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সূত্র: সমকাল।