ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ত্রাণের দাবিতে পৌরসভার ৪, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ বিক্ষোভ করেছেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ হয়। পরে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ও পৌরসভার কাউন্সিলররা ত্রাণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করে বাড়িতে পাঠান।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এই মানুষগুলো প্রায় একমাস কর্মহীন। তাঁদের কারও বাড়িতে কোনো খাবার নেই। সরকার জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকার খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছে। কিন্তু তাঁরা আজ পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সহায়তা পাননি। এমনকি তাঁরা সরকারের দেওয়া রেশন সুবিধাও পাননি। সংশ্লিষ্ট এলাকার কাউন্সিলররা বেছে বেছে যারা ভোট দিয়েছেন এবং নিজেদের স্বজনের ত্রাণ দিচ্ছেন। বিভিন্ন ওয়ার্ডে সচ্ছল ব্যক্তিরা রেশন কার্ড পেয়েছেন। এভাবে সরকারের দেওয়া সব সুবিধা থেকেই তাঁরা বঞ্চিত।
বিক্ষোভের সময় উপস্থিত থাকা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুলাল হাওলাদার বলেন, ’আমার ওয়ার্ডে ১ হাজার ৭০০ গরিব পরিবার রয়েছে। আমি বিতরণের জন্য রেশন কার্ড পেয়েছি ৬৫০টি। তাই যারা ত্রাণ পায়নি, তারা বিক্ষোভ তো করবেই।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য শারমীন মৌসূমী বলেন, সরকার ত্রাণ সহায়তা হিসেবে প্রচুর চাল ও টাকা পাঠাচ্ছে। কিন্তু তা অভাবী মানুষের হাতে পৌঁছাচ্ছে না। জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রমে সমন্বয় নেই।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তরুন কর্মকার বলেন, যারা ত্রাণ পাননি, তাঁদের জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হবে। এ ছাড়া ঝালকাঠি সদর ও নলছিটিতে সাংসদ আমির হোসেন ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১০ হাজার মানুষকে ত্রাণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জেলা প্রশাসনের এনডিসি আহাম্মেদ হাসান বলেন, ’ত্রাণ কার্যক্রকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচলনার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে যারা বিক্ষোভে জড়ো হয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই আগে ত্রাণ নিয়েছেন। যারা পাননি, তাঁদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।’