ডেস্ক রিপোর্ট: জীবন বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। এ পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নিজেদের বাড়িঘর ছেড়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।
সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা মহামারিতে এসব ফিলিস্তিনি স্কুল, মসজিদ এবং অন্যান্য জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে। সেখানে পানি, খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলার সুযোগ নেই।
জাতিসংঘ আশা করছে, ফিলিস্তিনি গ্রুপগুলো এবং ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে সেখানে মানবাধিকার কর্মীদের যাওয়ার অনুমতি দেবে। যাতে করে তারা জ্বালানি, খাদ্য এবং চিকিৎসা দিতে পারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেখানের হাসপাতাল ও স্যানিটেশন সেবাগুলো বিদ্যুতের উপর নির্ভর করে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি রোববার থেকে শেষ হয়ে যাবে।
রমজানের আগে গাজা শহরে ফিরে আসা তুরস্কের ফিলিস্তিনি শিল্পী মালাক মাট্টার আল জাজিরাকে বলেন, এখনো বোমা হামলা বন্ধ হয়নি। হামলার টার্গেট হলো আমি যেখানে বাস করি সেই শহরের আবাসিক ভবনগুলো। এখানে গানবোট এমনকি বিমান থেকেও গুলি চালানো হয়েছে। আমার বন্ধুরা তাদের বাসা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এটি ১৯৪৮ সালে নকবার কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি একটি গণহত্যা।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলার ৬ষ্ঠ দিন চলছে। এ হামলা আরো জোরদার করেছে দখলদার বাহিনী।
গত সোমবার থেকে গাজা সীমান্তে ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলার পর এখন ভূমি থেকে আর্টিলারি ফায়ার ও ট্যাংক দিয়ে গোলা ছোড়া হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ৪০ মিনিটে গাজার ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে ৪৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র আভিচায় আদ্রায়ি শুক্রবার টুইটারে এ তথ্য জানিয়েছেন।