ভোলা প্রতিনিধি : চরফ্যাশনের নীলকমল ইউনিয়নে জেলে পুর্নবাসনে বরাদ্দকৃত চাল বিতরণে অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে। প্রাপ্ততা রয়েছে এমন প্রকৃত জেলেদের না দিয়ে নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের চাল দেয়ার অভিযোগ ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে ওজনে কম দেয়ার অভিযোগও তোলেন ভুক্তভোগী জেলেরা। তবে নীলকমল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, জেলেদের পুনর্বাসনে নীলকমল ইউনিয়নে ৪৮.০৮ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। গতকাল ২৯ এপ্রিল ৪৭৬ ও আজ ৭২৬জন (মোট ১২০২) জেলের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়। এসময় প্রকৃত জেলেদের চাল না দিয়ে চেয়ারম্যানের পছন্দের ব্যক্তিদের চাল দেয়ার অভিযোগ ওঠে। ভুক্তভোগী জেলেদের অভিযোগের ভিত্তিতে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার পাশ থেকে ৪৪০ কেজি চাল জব্দ করেন। এসময় ওজনে কম দেয়ায় ওজনদারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৃত জেলেদের বাদ দিয়ে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে তার পছন্দের ব্যক্তিদের স্লিপের মাধ্যমে চাল দেন এবং ওই চাল ওজনে কম দেয়া হয়। স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এ বিষয়ে অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে গেলে ১৪ জন চাল রেখে পালিয়ে যায়। পরে ৩ জন জেলের কার্ড দেখালে তাদের চাল দিয়ে দেয়া হয় । বাকি ১১জনের জেলে কার্ড দাখিল করতে না পারায় তাদের ৪৪০ কেজি চাল জব্দ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন বলেন, ১৪ জনের চাল জব্দ করা হয়েছে। তিনজন প্রমাণপত্র দেখানোয় তাদের চাল দেয়া হয়েছে। বাকি চালের প্রাপ্ত ব্যক্তিরা জেলে হিসেবে প্রমাণপত্র নিয়ে আসতে না পারায় চাল জব্দ করা হয়েছে এবং ওজনে কম দেয়ায় ওজনদার এর পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার এই ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরণের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদার বলেন, নিবন্ধিত জেলেদেরকে চাল দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪ জেলে চাল উত্তোলন করে বাহিরে চাল বিক্রি করতে গেলে ওই চাল উদ্ধার করা হয়। চাল কম দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, খাদ্য গুদাম থেকে প্রতি বস্তায় ২/১ কেজি করে চাল কম দেয়া হয়।
চট্টলানিউজ/এসআর