গণপূর্ত অধিদফতরের নতুন প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রংপুর গণপূর্ত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম। তাকে এই দায়িত্ব দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার অফিস আদেশ জারি করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে আসা মো. সাহাদাত হোসেন ৩১ ডিসেম্বর অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) গেছেন। তার স্থলাভিষিক্ত হলেন আশরাফুল আলম।
তিনি ১৫তম বিসিএস (পাবলিক ওয়ার্কস) ক্যাডারের মেধা তালিকায় প্রথম হিসাবে ১৯৯৫ সালে গণপূর্ত অধিদফতরে সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন। আশরাফুল আলম রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে মেধা তালিকায় প্রথম শ্রেণিতে ২য় হিসাবে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর আজীবন ফেলো এবং আমেরিকান সোসাইটি অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্সের সম্মানিত সদস্য।
জানা গেছে, মোঃ আশরাফুল আলম ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার দিগদাইর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি করপুর বাই-ল্যাটারাল উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে প্রথম বিভাগে এসএসসি এবং পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। তিনি বর্তমান রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে মেধাতালিকায় প্রথম শ্রেণীতে ২য় হিসাবে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও ২০০৯ সালে তিনি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ থেকে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে সালে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, ২০০৭ সালে নির্বাহী প্রকৌশলী, ২০১৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং ২০১৮ সালে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-১, মেডিকেল কলেজ ডিভিশন, গণপূর্ত রক্ষণাবেক্ষণ সার্কেল এবং রংপুর গণপূর্ত জোনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন।
দীর্ঘ কর্মজীবনে সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে সরকারি দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তিনি চাকরি ক্ষেত্রে অনেক সুনাম অর্জন করেন। কর্মজীবনে তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও সৎ একজন কর্মকর্তা। তিনি ক্যাডেট কলেজ ক্লাব লিমিটেড, বৃহত্তর উত্তরবঙ্গ সমিতি ইত্যাদির আজীবন সদস্য। এছাড়াও তিনি অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা এবং আমেরিকান সোসাইটি অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স এর সম্মানিত সদস্য। চাকরি ছাড়াও তিনি বহু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তিন কন্যা এবং এক পুত্র সন্তানের জনক।