৮ দফা দাবিতে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের কার্যালয়ে অবস্থান করছেন ডিইউজে নেতৃবৃন্দ
দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক রফিকুল আলমকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতৃবৃন্দ ও প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত সাংবাদিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে রফিকুল আলম আলোকিত বাংলাদেশের পান্থপথের কার্যালয়ে আন্দোলনরত ডিইউজে নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আসেন। দু’পক্ষের আলোচনাকালে ডিইউজে নেতারা বিনা শর্তে চাকরিচ্যুত মতলু মল্লিককে চাকরিতে পুনর্বহালসহ পাওনা বকেয়া পরিশোধের দাবি জানান। কিন্তু রফিকুল আলম কিছুতেই মতলু মল্লিককে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হবে না জানালে, আলোকিত বাংলাদেশ কার্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে বাইরে অবস্থান করছেন ডিইউজে নেতারা।
ডিইউজে নেতারা বলছেন, সাংবাদিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা দ্রুত পরিশোধ ও অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত প্রতিষ্ঠানটির সাংবাদিক ও ডিইউজে ইউনিট প্রধান মল্লিকের চাকরিতে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত, সম্পাদকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা অবরুদ্ধ থাকবেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রফিকুল আলমসহ অন্যান্য কয়েকজন কর্মকর্তা কার্যালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ আছেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ডিইউজে নেতারা শনিবার বিকেলে পত্রিকাটির পঞ্চম তলায় বার্তাকক্ষে সাংবাদিকদের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবি ও ইউনিট প্রধান মতলু মল্লিককে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য।
এ সময় বহিরাগতরা পত্রিকার ষষ্ঠতলা থেকে পরিকল্পিতভাবে একত্রিত হয়ে পঞ্চম তলায় এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে অশালীন ও মারমুখী আচরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সূর্যকে ধাক্কা দেয়। তাদের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করলে দুর্বৃত্তরা সাংবাদিকদের নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী। তিনি এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে পত্রিকা কর্তৃপক্ষের কাছে গেলে সেখানেও বহিরাগতরা এসে মারমুখী আচরণ করতে থাকে। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকরা যুগ্ম সম্পাদকের ফ্লোরের সামনে মেঝেতে বসে প্রতিবাদ সমাবেশ করতে থাকেন। সাংবাদিক নেতারা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও তাদের ন্যায্য দাবিতে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
ডিইউজে আলোকিত বাংলাদেশের ইউনিট প্রধান মতলু মল্লিক জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পঞ্চম তলায় বার্তাকক্ষে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলাম। হঠাৎ ষষ্ঠ তলা থেকে বিজ্ঞাপন বিভাগের নেতৃত্বে অপরিচিত ১৫-২০ জন বহিরাগত এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করে এবং নানা ধরনের হুমকি দেয়। আমরা হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
এ বিষয়ে আলোকিত বাংলাদেশের হেড অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস মো. জামিল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ডিইউজের কোনো নেতার ওপর আমরা হামলা বা আক্রমণ করিনি। বরং তারাই আমাদের বিজ্ঞাপনের লোকজনকে মেরেছে। আমরা আলোচনা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আলোচনা করতে দেয়নি।
আলোকিত বাংলাদেশের ডেপুটি প্রধান শফিক বাশারের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক আকতার হোসেন, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ওবায়দুর রহমান, ডিইউজের নির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম মুজতবা ধ্রুব, নীলফামারী সাংবাদিক ফোরামের দপ্তর সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, ডিইউজের সদস্য সাইফ আবেদিন, গোপালগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন প্রমুখ।