ঢাকা অফিস : চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান। তবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তুত রয়েছে। পুরো স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে। আর সিদ্ধান্ত নেয়া হলে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ আগেই জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
রাজধানীতে সোমবার (১৭ আগস্ট) সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্য সচিব। এদিকে কবে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কিংবা কীভাবে এবারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এ নিয়ে কয়েকদি ধরে চলছে জল্পনা কল্পনা।
জানা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে অথবা অক্টোবরের প্রথম দিকে শুরু হতে পারে এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একটি রোডম্যাপ তৈরি করে বিভিন্ন প্রস্তুতিও শুরু করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
জানা গেছে, বর্তমানে সবকিছু সচল হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে অথবা অক্টোবরের শুরুতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নতুনভাবে প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এজন্য শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরে পার্শ্ববর্তী ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা চাওয়া হয়েছে। নতুনভাবে কেন্দ্র বাড়িয়ে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।
এ বছরের ১ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনার কারণে এ পরীক্ষাসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্থগিত পরীক্ষার পরবর্তী সময় ঘোষণা না করায় অনিশ্চয়তায় দিন পার করছে প্রায় ১২ লাখ পরীক্ষার্থী।
জানা গেছে, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থী কমিয়ে একটি বেঞ্চে একজন করে বসানো হবে। ক্লাসরুমে যতগুলো বেঞ্চ থাকবে ততজন পরীক্ষার্থীর সিট নির্ধারণ করা হবে। কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হলে পার্শ্ববর্তী ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর গেটের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হবে। পরিদর্শক ও পরীক্ষার্থীরা ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে ভেতরে প্রবেশ করবেন।