‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার সব পদক্ষেপ নিয়েছে’

বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটেও দেশের উৎপাদনশীলতা এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৫ মার্চ) ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণকে জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করে নিরাপদ জ্বালানির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছি। দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জ্বালানি খাতকে আধুনিক ও ডিজিটালাইজড করার জন্য সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ নকল ও ভেজাল রোধে অধিদপ্তর নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ভোক্তা অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিষ্ঠার সঙ্গে যথাযথ ভূমিকা রাখবে।

সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধা ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। বঙ্গবন্ধুর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশ্ব দরবারে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্বীকৃতি লাভ আওয়ামী লীগ সরকারের যুগান্তকারী অর্জন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়োপযোগী উদার বাণিজ্যনীতি এবং সমন্বিত নীতি কৌশল যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ এখন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ীদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের কাতারে উন্নীত করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ।