চিকিৎসাশাস্ত্রের ভোলার কীর্তিমান মানুষ অধ্যাপক ডা. মোঃ মিজানুর রহমান ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হতে ১৯৭৬ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ওখানেই ইন্টার্নী করে ১৯৭৭ সালেই বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেন। ১৯৮১ সালে তিনি অস্ট্রিয়া হতে ডিপ্লোমা ইন ইউরোলজি অর্জন করেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে তিনি ১৯৮২ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৩ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে তিনি রাজশাহী মেডিক্যালে যোগদেন। ৮৭-৯৩ পর্যন্ত তিনি ঝালকাঠি জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। ২০০০ সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল এর ইউরোলজি বিভাগে যোগ দেন এবং বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পান। ২০০৫ সালে তিনি পূর্ণ মর্যাদার অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে একই বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব ২০০৯ পর্যন্ত পালন করে সরকারি চাকরি হতে অবসর নেন। বর্তমানে তিনি প্রাইভেট প্রাক্টিসের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছেন।
ভোলা শহরের গাজিপুর রোডের পৈত্রিক বাড়িতে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মরহুম আসমত আলী স্যার। তাঁর শতবর্ষী মাতা মিসেস আমেনা আলী। সহধর্মিনী সাবেক মাধ্যমিক শিক্ষিকা মিসেস ডালিয়া রহমান। তিনি তিন ডাক্তার সন্তানের জনক। ১ম পুত্র ডা. তানভির রহমান আমাদেরই প্যানেল চিকিৎসক। ২য় পুত্র ডা. সাব্বির রহমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিকিৎসক হিসেবে বান্দরবানে কর্মরত। একমাত্র কন্যা ডা. বুশরা আল মোবাশ্বেরা এমবিবিএস করে ইউএসটিসিতে ইন্টার্নরত।
অধ্যাপক ডা. মোঃ মিজানুর রহমান চট্টগ্রামে শুরু হতেই আমাদের সামাজিক কাজের সাথে একান্তভাবে জড়িত। তিনি ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি বাস্তবায়নে আমাদের এডভাইজর ছিলেন। বিডিএফআই গঠনের পরও তিনি আমাদের সকল কাজের সাথেই আছেন। সামনেও তিনি আমাদের ভোলাতে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ বাস্তবায়ন কর্মসূচিসহ গৃহিতব্য সকল কাজেই আন্তরিকতার সাথে থাকবেন বলেই আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। আমরা ভোলার এ কৃতিসন্তান এ প্রবীনতম চিকিৎসকের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আপদকালীন চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য তাঁর মোবাইল নং ও সময় জানালো হল। মোবাইল ফোন নম্বর : ০১৭১৭৮৩৫১৪৫, সময়: বিকাল ৩.৩০ থেকে ৪.৩০ পর্যন্ত।
(ভোলা ডেভেলপম্যান্ট ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল (বিডিএফআই) এর উদ্যোক্তা এম জহিরুল আলম এর ফেসবুক থেকে নেয়া)