বিজেপিতে যোগ দিয়ে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর ফেসবুক পেজ খুলেছিলেন গত ১৪ মার্চ। ফেসবুকে তিনি তেমন এক্টিভও না। কয়েকটা নির্বাচনী প্রচারণায় তার ডায়ালগের কাটিং দেয়া হয়েছে। তার এ পর্যন্ত ফেসবুক পেজে লাইক সংখ্যা ১ হাজার ৩০৭টি। কিন্তু অবাক করা বিষয়টি হলো এত অল্প সংখ্যক লাইক থাকলেও তার ফেসবুক পেজটি ভেরিফায়েড হয়েছে। যেখানে তাকে অভিনেতার বদলে রাজনীতিবিদ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি তার সর্বশেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস ছিল Bengal needs BJP. এরপর থেকে ফেসবুকে তিনি নিরব।
তার ইন্সটাগ্রামের ফলোয়ার সংখ্যাও কম। মাত্র ২ হাজার ৭৩৯ জন। ইনস্টাগ্রামে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন অভিনেতা ও মানবতাবাদী হিসেবে। এখানে তিনি রাজনীতিবিদ পরিচয়টি দেননি।
তবে টুইটারে তার ফলোয়ার সংখ্যা ৩৪ হাজারেরও বেশি। গত ৪ মে তিনি টুইটারে সর্বশেষ পোস্ট করেন। টুইটবার্তায় তিনি বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গ জ্বলছে। দয়া করে সহিংসতা বন্ধ করুন। রাজনীতির চেয়ে মানুষের জীবন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের কথা চিন্তা করে হলেও সহিংসতা বন্ধ করুন।
তার টুইটের জবাবে শঙ্খদীপ দে নামের বিজেপির এক কর্মী লেখেন, ‘মুরাল অব দ্য স্টোরি-ঐক্যবদ্ধ ৩০ ভাগ সবসময় বিভাজিত ৭০ ভাগকে পরাজিত করতে পারে’।
ফ্র্যাঙ্কি নামের একজন লেখেন, দিল্লির পরাজয়ের পরও এরকম পরিস্থিতি হবে। অঞ্জন সেনগুপ্ত নামের একজন লেখেন, দাদা, কারা সহিংসতা করছে? তারা সোনার বাংলার লোক নয়। আমাদের উচিত তাদের প্রতিহত করে শয়তানদের হাত থেকে হিন্দুদের সুরক্ষা দেয়া।
এর আগে নির্বাচনী প্রচারণায় তৃণমূলকে লক্ষ্য করে বেশ কিছু উত্তেজনাকর বক্তব্য দিয়েছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেয়া মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার মিঠুনের ওই বক্তব্যগুলো উসকানিমূলক ছিল দাবি করে বর্তমান সহিংসতার জন্য মিঠুনও দায়ী বলে এফআইআর দাখিল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলর অভিযোগ, বাংলার ভোট পরবর্তী সহিংসতা মিঠুনও উস্কানিদাতা। মিঠুনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে মানিকতলা থানায়। তাতে অভিনেতার বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ এনেছে উত্তর কলকাতা যুব তৃণমূল। একই অভিযোগ আনা হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও।
বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশে, আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানেই বক্তৃতা করতে গিয়ে নিজের ছবির জনপ্রিয় সংলাপ আউড়েছিলেন মিঠুন।
এফআইআরে বলা হয়েছে, মিঠুনের ওই সব সংলাপেই উত্তেজনা ছড়়িয়েছে রাজ্যে। একজন তারকা হিসাবে প্রকাশ্য মঞ্চে এই ধরনের সংলাপের ব্যবহার করে মিঠুন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে ওই এফআইআরে।
নির্বাচনী প্রচারের ময়দানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও “জায়গায় জায়গায় শীতলখুচি’’ হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধেও উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে।